একজন ইংরেজ তাত্ত্বিক, পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ হিসেবে খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব যিনি বিংশ শতকের সেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিগণিত তিনি হলেন স্টিফেন উইলিয়াম হকিং। বিশ্বতাত্ত্বিক ও বিজ্ঞান-বিষয়ক জনপ্রিয় ধারার লেখক ছিলেন স্টিফেন হকিং। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসীয় অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক মহাবিশ্বতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (Center for Theoretical Cosmology Cosmology) প্রধান হিসেবে বহুল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এই বহুমুখী প্রতিভা।
স্টিফেন হকিং এর জন্ম, পরিবার ও শৈশব জীবন, Birth, family and childhood days
স্টিফেন হকিং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড নগরীতে একটি চিকিৎসক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্টিফেন হকিংয়ের বাবার নাম ড. ফ্রাঙ্ক হকিং, যিনি পেশায় একজন জীববিজ্ঞান গবেষক এবং মা ইসোবেল হকিং ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মী। তাঁর মা ছিলেন স্কটিশ। হকিংয়ের জন্মের পূর্বে তাঁর বাবা-মা উত্তর লন্ডনে থাকতেন।
যখন লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে, সে সময় একটি চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তার মা-বাবার পরিচয় হয়েছিল, ইসোবেল সেখানে একজন মেডিক্যাল সহকারী এবং ফ্রাঙ্ক চিকিৎসা গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে হকিং গর্ভে আসার পর নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা অক্সফোর্ডে চলে যান। তবে হকিংয়ের জন্মের পর আবার লন্ডনে ফিরে আসেন তারা। সেখানে স্টিভেনের বাবা “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল রিসার্চ” এর প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হকিংয়ের আরো দুই বোন রয়েছে, যাদের নাম ফিলিপ্পা ও মেরি। এছাড়াও হকিং এর পরিবারে এডওয়ার্ড নামে এক পালকপুত্রও ছিল।
স্টিফেন হকিং এর শিক্ষাজীবন, Education
স্টিফেন হকিংয়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় লন্ডনের হাইগেটের বাইরন হাউজ স্কুলে। পরবর্তীতে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি সেন্ট অ্যালবান্সের মেয়েদের স্কুলে পড়েন। সেই সময় ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেরা মেয়েদের স্কুলে পড়াশুনা করতে পারতো। পরে সেখান থেকে আবার সেন্ট অ্যালবান্সে চলে যান। স্কুলে থাকাকালীন তাঁর পরীক্ষাগুলোর রেজাল্ট ভালো ছিল বটে তবে অসাধারণ ছিল না। হকিংয়ের পরিবার শিক্ষায় বেশ গুরুত্ব দিতেন। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন পুত্র প্রখ্যাত ওয়েস্টমিনস্টার স্কুলে পড়াশুনা করুক, কিন্তু সেসময় ১৩ বছর বয়সী হকিং বৃত্তি পরীক্ষার দিনই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন, অন্যদিকে বৃত্তি ছাড়া তাঁর পরিবার ওয়েস্টমিনস্টারে তাঁর পড়াশুনার খরচ চালাতে অক্ষম ছিলেন, তাই তিনি সেন্ট অ্যালবান্স স্কুলেই রয়ে যান।
স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে ডিকরান তাহতার নামক একজন গণিত শিক্ষকের অনুপ্রেরণার কথা হকিং পরবর্তীতে নিজের লেখায় প্রকাশ করেন। হকিং স্কুলে “আইনস্টাইন” নামে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু শুরুর দিকে তার পরীক্ষার ফলাফল তেমন ভালো হয় নি। তবে বিজ্ঞানে ছিল হকিংয়ের সহজাত আগ্রহ। হকিং নিজের শিক্ষক, তাহতার অনুপ্রেরণায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু হকিংয়ের বাবার ইচ্ছে ছিল সে যেন তাঁর মতো ডাক্তার হয়, কারণ গণিতে যারা স্নাতক তাদের জন্য তখনের সময়ে খুব বেশি চাকরির সুযোগ ছিল না। এছাড়া পিতা নিজের কলেজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্টিফেনকে ভর্তি করাতে চান, কিন্তু যেহেতু সেখানে গণিতের কোর্স ছিল না, সেজন্যই হকিং পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন বিষয় নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি ১৯৫৯ সালে অক্সফোর্ডের ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন এবং ১৭ বছর বয়সে থাকাকালীন কলাবিদ্যায় সম্মানসহ প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক উপাধি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে তিনি কেমব্রিজ নগরীর ট্রিনিটি হলে স্নাতোকত্তর পর্যায়ের অধ্যয়নকর্ম শুরু করে দেন এবং ১৯৬৬ সালে সেখান থেকে ফলিত গণিত এবং তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট উপাধি পান, তাঁর গবেষণার বিশেষায়িত ক্ষেত্র ছিল সাধারণ আপেক্ষিকতা এবং বিশ্বতত্ত্ব।
কম বয়সে কঠিন রোগের শিকার স্টিফেন হকিং, Stephen Hawking suffered from a serious illness at a young age
১৯৬৩ সালের দিকে, মাত্র ২১ বছর বয়স থেকে হকিংয়ের দেহে ধীরগতিতে অগ্রসরমান একপ্রকার স্নায়ুকোষ জনিত রোগের প্রারম্ভিক জীবনকালীন সূত্রপাত নির্ণয় করা হয়, এই রোগের নাম ছিল পেশীক্ষয়কারী পার্শ্বিক কাঠিন্য রোগ (এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস) অথবা লু গেরিগের রোগ। উক্ত রোগটির কারণে হকিং পরবর্তী দশকগুলিতে ক্রমাগত উত্তরোত্তর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তা সত্ত্বেও বহু বছর যাবৎ তিনি নিজের গবেষণা সংক্রান্ত কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যান।
কিন্তু এক পর্যায়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন, এরপর থেকে তিনি এক ধরনের ভাষা-উৎপাদনকারী যন্ত্রের সাহায্যে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতেন। প্রথম প্রথম হাতে রাখা একটি সুইচের মাধ্যমে যন্ত্রটি ব্যবহার করতেন তিনি, ধীরে ধীরে পক্ষাঘাতের প্রভাবে শেষ পর্যন্ত হকিং গালের একটি পেশীর সাহায্যে যন্ত্রটি পরিচালনা করতেন। অন্যদিকে স্টিফেন হকিং কে নিয়ে তৈরি এক তথ্যচিত্রে প্রকাশ করা হয় যে, ১৯৮৫ সালে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন হকিং ৷
উক্ত সালের গ্রীষ্মকালে জেনেভার সার্ন-এ অবস্থানকালীন সময়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই বিখ্যাত বিজ্ঞানী। নিউমোনিয়ার ধকল সহ্য করতে না পারায় কোমায় চলে যান তিনি, তাঁর কষ্ট দেখে চিকিৎসকরাও একসময় লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন হকিং এর স্ত্রী কে, কিন্তু তাতে রাজি হন নি স্ত্রী জেন হকিং।
জিনতত্ত্ববিদ মাকসুদুল আলমের জীবনী, Biography of Bangladeshi scientist Maqsudul Alam in Bengali
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের প্রধান অবদান, Main contribution of Stephen Hawkin
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে স্টিফেন হকিংয়ের দুইটি প্রধান অবদান রয়েছে। প্রথমত, সতীর্থ রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলে তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতার প্রসঙ্গ কাঠামোর ভেতরে মহাকর্ষীয় অদ্বৈত অবস্থান সম্পর্কিত বেশ কিছু উপপাদ্য প্রদান করেছিলেন, যার নাম হল ‘পেনরোজ-হকিং অদ্বৈত অবস্থান উপপাদ্যসমূহ’।
দ্বিতীয়ত, তিনি কৃষ্ণগহ্বর-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে কৃষ্ণগহ্বর থেকে কণাপ্রবাহ বিকিরিত হয়। এই বিকিরণকে বর্তমানে বেকেনস্টাইন-হকিং বিকিরণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও হকিং ছিলেন প্রথম বিজ্ঞানী যিনি আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের একীভবনের মাধ্যমে এক বিশ্বতত্ত্ব নির্মাণের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। তাছাড়া তিনি কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের বহু-বিশ্ব ব্যাখ্যার একজন বলিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন।
ব্রিটিশ লেখক ও ঔপন্যাসিক মনিকা আলীর জীবনী, Biography of British writer Monica Ali in Bengali
স্টিফেন হকিং এর ব্যক্তিগত জীবন, Personal life
স্টিফেন হকিং কেমব্রিজে যখন স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন, তখন জেন ওয়াইল্ডের সাথে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেন ছিলেন তাঁর বোনের বান্ধবী। ১৯৬৪ সালের অক্টোবরে তাদের বাগদান হয়। হকিং পরবর্তীতে বলেছিলেন যে এই বাগদান তাকে “বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা” যোগায়। তারা ১৯৬৫ সালের ১৪ই জুলাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে, এই দম্পতির তিনজন সন্তান হয়, প্রথম পুত্র রবার্ট ১৯৬৭ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করে, কন্যা লুসি ১৯৭০ সালে এবং তৃতীয় সন্তান টিমোথি ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে জন্ম গ্রহণ করেছিল।
স্টিফেন হকিংয়ের রচনাবলী, Stephen Hawking’s works
স্টিফেন হকিং জনপ্রিয় ধারার বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করেছিলেন। উক্ত গ্রন্থগুলিতে তিনি নিজের তত্ত্ব এবং বিশ্বতত্ত্ব নিয়ে সাধারণভাবে আলোচনা করেছেন। তাঁর রচিত ‘এ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম’ নামক গ্রন্থ ‘ব্রিটিশ দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকার সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের তালিকায় রেকর্ড ভেঙে, প্রায় ২৩৭ সপ্তাহ সময়কাল ধরে বিদ্যমান ছিল। হকিং “রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টস”- এর সম্মানিত ফেলো ছিলেন, অন্যদিকে ‘পন্টিফিক্যাল একাডেমি অব সায়েন্স’ এর আজীবন সদস্য।
সম্মাননা প্রাপ্তি, Awards and Recognition
২০০২ সালে ব্রিটিশ গণমাধ্যম সংস্থা BBC পরিচালিত যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের “হান্ড্রেড গ্রেটেস্ট ব্রাইটন্স” নামক জরিপে তিনি ২৫তম স্থান অধিকার করেছিলেন।
২০০৭ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় কসমোলজি কেন্দ্রে স্টিফেন হকিংয়ের এক মূর্তি স্থাপন করা হয় যা প্রয়াত শিল্পী আয়ান ওয়াল্টার তৈরি করেছিলেন। আবার ২০০৮ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে অবস্থিত “আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স” এর সামনে তাঁর আরও এক আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়। তাছাড়াও মধ্য আমেরিকার এল সালভাদর নিজের রাজধানী সান সালভাদরে অবস্থিত বিজ্ঞান জাদুঘরটির নাম হকিংয়ের নামে রেখেছে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম” খেতাবে ভূষিত হন তিনি।
এছাড়াও স্টিফেন হকিং নিজের কর্মক্ষেত্রে অশেষ অবদানের জন্য নিম্নোক্ত পদক এবং পুরস্কার অর্জন করেছিলেন:
● অ্যাডামস পুরস্কার (১৯৬৬)
● এডিংটন পদক (১৯৭৫)
● ম্যাক্সওয়েল পদক ও পুরস্কার (১৯৭৬)
● গাণিতিক পদার্থবিদ্যায় ড্যানি হাইনম্যান পুরস্কার (১৯৭৬)
● হিউ পদক (১৯৭৬)
● আলবার্ট আইনস্টাইন পদক (১৯৭৮)
● রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির স্বর্ণ পদক (১৯৮৫)
● ডিরাক পুরস্কার (১৯৮৭)
● উলফ পুরস্কার (১৯৮৮)
● প্রিন্স অব অ্যাস্টুরিয়াস পুরস্কার (১৯৮৯)
● অ্যান্ড্রু গেম্যান্ট পুরস্কার (১৯৯৮)
● নেলর পুরস্কার ও লেকচারশিপ (১৯৯৯)
● লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার (১৯৯৯)
● রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের আলবার্ট পদক (১৯৯৯)
● কপলি পদক (২০০৬)
● প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (২০০৯)
● ফান্ডামেন্টাল ফিজিক্স পুরস্কার (২০১২)
● বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ারস অব নলেজ পুরস্কার (২০১৫)
স্টিফেন হকিংয়ের জীবনের উপর তৈরী চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক, Movies and serials
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের জীবনের উপর ভিত্তি করে বহু চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক রচিত হয়ে, সেগুলো হল:
● আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম (১৯৯২)
● স্টিভেন হকিংস ইউনিভার্স (১৯৯৭)
● হকিং – বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ অভিনীত বিবিসির ২০০৪ সালের টেলিভিশন চলচ্চিত্র।
● হরাইজন: দ্য হকিং প্যারাডক্স (২০০৫)
● মাস্টার্স অব সায়েন্স ফিকশন (২০০৭)
● স্টিভেন হকিং অ্যান্ড দ্য থিওরি অব এভরিথিং (২০০৭)
● স্টিভেন হকিং: মাস্টার অব দ্য ইউনিভার্স (২০০৮)
● ইনটু দ্য ইউনিভার্স উইথ স্টিভেন হকিং (২০১০)
● ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড উইথ স্টিভেন হকিং (২০১১)
● স্টিভেন হকিংস গ্র্যান্ড ডিজাইন (২০১২)
● দ্য বিগ ব্যাং থিওরি (২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭)
● স্টিভেন হকিং: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব মাইন (২০১৩)
● দ্য থিওরি অব এভরিথিং – এডি রেডমেইন অভিনীত ২০১৪ সালের চলচ্চিত্র।
● জিনিয়াস বাই স্টিভেন হকিং (২০১৬)
শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আল-মুতীর জীবনী, Biography of Abdullah-Al-Muti in Bengali
জীবনাবসান, Death
কঠিন স্নায়ুকোষ সংক্রান্ত রোগের প্রভাবে স্টিফেন হকিং এর প্রায় সম্পূর্ণ দেহ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময়কাল ধরে এই রোগে ভোগার পর ২০১৮ সালের ১৪ই মার্চ ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে আইজাক নিউটনের সমাধির পাশে ও চার্লস ডারউইনের সমাধি সংলগ্ন অংশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
উপসংহার, Conclusion
স্টিফেন হকিং বিজ্ঞানের উন্নতির ক্ষেত্রে বহু অবদান রেখে গেছেন। কর্মক্ষেত্রে নিজের কার্যকলাপের দরুন তিনি আজ বিশ্বখ্যাত। এমনকি বিশ্বের প্রথম সারির বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি গণ্য হন। কঠিন রোগে আক্রান্ত থাকা সত্ত্বেও নিজের গবেষণার কাজ চালিয়ে যান হকিং, যা সকলের মনে অনুপ্রেরণা প্রদান করে। নিজের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি সর্বদাই বিশ্বের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
- ওপেনহেইমার এর জীবনী ও বিখ্যাত উক্তি সমূহ, Best Biography and quotes of Robert J Oppenheimer in Bengali
- ওয়াল্ট ডিজনির জীবনী, The Best Biography of Walt Disney in Bengali
- আবদুর রহমান, এক কিংবদন্তি অভিনেতা, The best biography of Abdur Rahman in Bengali
- মৃণাল সেনের জীবনী, Best Biography of Mrinal Sen in Bengali
- টমাস আলভা এডিসন এর জীবনী, Best Biography of Thomas Alva Edison in Bengali
Frequently Asked Questions :
৮ জানুয়ারি ১৯৪২, অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য।
এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস অথবা লু গেরিগের রোগ।
জেন হকিং ।
১৪ মার্চ ২০১৮ (বয়স ৭৬), ক্যামব্রিজ, যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক মহাবিশ্বতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (Center for Theoretical Cosmology Cosmology) প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।